যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি সময় অবস্থান করা বিদেশিদের জন্য বাধ্যতামূলক নিবন্ধনের নির্দেশ জারি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এই নির্দেশ অমান্য করলে আর্থিক জরিমানা থেকে শুরু করে কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে এক্সে একটি পোস্টে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, “বিদেশি যারা যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের বেশি সময় ধরে আছেন তাদের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অবশ্যই নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন না করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। যারফলে ভোগ করতে হবে আর্থিক ও কারাদণ্ড।”
এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েমের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখেছে, অবৈধ অভিবাসীর প্রতি তাদের স্পষ্ট বার্তা হলো— যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ুন এবং স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফিরে যান।
পোস্টটির সঙ্গে একটি ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে লেখা ছিল, স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যাওয়া নিরাপদ। এতে নিজে ফ্লাইট ঠিক করে ফেরার সুযোগ থাকবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে অর্জিত অর্থও সঙ্গে করে নেওয়া যাবে। পরে চাইলে বৈধভাবে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আবেদন করা যাবে।
এছাড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব অভিবাসী স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে চান কিন্তু আর্থিকভাবে সক্ষম নন, তাদের জন্য ফ্লাইট ভাড়ায় সরকারি ভর্তুকির ব্যবস্থা থাকবে।
তবে যারা অবৈধভাবে অবস্থান অব্যাহত রাখবেন, তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। তাৎক্ষণিক ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি দৈনিক জরিমানার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ পাওয়ার পরও যদি কেউ থেকে যান, তাহলে প্রতিদিনের জন্য ৯৯৮ ডলার করে জরিমানা গুনতে হবে। এছাড়া কারাদণ্ডও দেওয়া হতে পারে।
সবশেষে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, যেসব অবৈধ অভিবাসী জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হবে, তারা আর কখনো বৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাবেন না।